ইতালিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুনাম রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হয়েও ইতালিতে খুব একটা ভালো জায়গা করে নিতে পারেনি। তবে এ ব্যপারে প্রবাসীদের রয়েছে ভিন্নমত।
ইতালিয়ান সরকারের বিশেষ চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সরকার স্বাক্ষর না করার কারণ ব্যখ্যা করেন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশিরা সিজনাল ভিসায় এসে কেউই ফিরত যায়নি, তাই ইতালি সরকার এবার বিশেষ চুক্তিরপত্রের মধ্যে উল্লেখ করে, যে সব বাংলাদেশি এই প্রক্রিয়ায় ইতালিতে আসছে তারা যদি সময় শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে না যায়, তবে বাংলাদেশ সরকার নিজ খরচে তাদেরকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সেই চুক্তি পত্রে সই না করার ফলে এবার ২০১৩ সালের সিজনাল ভিসা থেকে বাদ পড়ে।’
তবে এতে করে রক্ষা পেয়েছে ইতালি বসবাসরত অবৈধ্ অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী। এছাড়াও ব্যাপক দুর্নীতি, দালাল চক্রের প্রভাব এবং এ কোঠায় বাংলাদেশিরা ইতালি এসে রির্পোটিং না করার কারণ হিসেবে মনে করেন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সহসভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘সিজন্যাল ভিসায় বাংলাদেশিরা এসে যদি ঠিকমতো কাজ করতো তাহলে বাংলাদেশকে এই লজ্জাকর অবস্থায় পড়তে হতো না।’
অন্যদিকে ইতালি সরকার আরেকটি নোটিশে জানায়, যে সব দেশের নাগরিক আগে কৃষি বা সিজন্যাল ভিসায় এসে নিয়ম অনুযায়ী ইতালিতে কাজ করেছেন, তারা এবছরের ঘোষিত কোঠায় আবারও একই প্রক্রিয়ায় আসতে পারবেন। এ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ২০১২ সালে যারা সিজন্যাল ভিসায় ইতালিতে প্রবেশ করে নিয়মিত কাজ করছেন শুধুমাত্র তারাই বাংলাদেশি হিসাবে পুনরায় এই প্রক্রিয়ায় তাদের মালিকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আশা করছেন, ইতালিয়ান সরকার সিজন্যাল ভিসার আইনটি শিথিল করবে এবং এর সঙ্গে বাংলাদেশিদের সুনাম অক্ষুণ্ন থাকবে।
বাংলামেইল২৪ডটকম/আরপি/ ১১০২ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১৩